fbpx
মাল্টিফাংশন প্রিন্টার (Multifunction Printer বা MFP) হলো একটি ডিভাইস যা প্রিন্টিংয়ের পাশাপাশি কপিয়িং, স্ক্যানিং, এবং ফ্যাক্সিং এর সুবিধাও প্রদান করে।

মাল্টিফাংশন প্রিন্টার কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? Leave a comment

মাল্টিফাংশন প্রিন্টার (Multifunction Printer বা MFP) হলো একটি ডিভাইস যা প্রিন্টিংয়ের পাশাপাশি কপিয়িং, স্ক্যানিং, এবং ফ্যাক্সিং এর সুবিধাও প্রদান করে। এই প্রিন্টারগুলো সাধারণত একটি একক ইউনিটে একাধিক ফাংশন সংযোজন করে, যার ফলে এটি স্থান এবং খরচ উভয়ই সাশ্রয় করে।

মাল্টিফাংশন প্রিন্টারের সুবিধা

1. স্থান সাশ্রয়

একটি মাল্টিফাংশন প্রিন্টার কিনলে আপনাকে আলাদা আলাদা প্রিন্টার, কপিয়ার, স্ক্যানার এবং ফ্যাক্স মেশিন কেনার প্রয়োজন হয় না। ফলে আপনার অফিস বা বাড়িতে আলাদা আলাদা যন্ত্রপাতি রাখার জন্য অতিরিক্ত জায়গার প্রয়োজন পড়ে না। এটি বিশেষ করে ছোট অফিস এবং বাড়ির জন্য খুবই উপকারী।

2. খরচ সাশ্রয়

একাধিক যন্ত্রপাতি কেনার চেয়ে একটি মাল্টিফাংশন প্রিন্টার কেনা তুলনামূলকভাবে সস্তা হয়। যেহেতু এটি একটি ডিভাইসে একাধিক কাজ করতে পারে, তাই এটি আপনার দীর্ঘমেয়াদী খরচ সাশ্রয়ে সাহায্য করে। একাধিক ডিভাইসের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার খরচও কমে যায়।

3. সুবিধাজনক

এক জায়গায় প্রিন্টিং, কপিয়িং, স্ক্যানিং এবং ফ্যাক্সিং এর কাজ করা যায়। ফলে আপনাকে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে যাওয়ার ঝামেলা পোহাতে হয় না। এটি কাজের গতি বাড়িয়ে দেয় এবং সময় সাশ্রয় করে।

4. রক্ষণাবেক্ষণ সহজ

একটি ডিভাইস রক্ষণাবেক্ষণ করা আলাদা আলাদা যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের চেয়ে সহজ। ফলে রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কমে যায়। এছাড়া, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা আলাদা টেকনিশিয়ান প্রয়োজন হয় না।

মাল্টিফাংশন প্রিন্টারের বৈশিষ্ট্য

1. প্রিন্টিং

মাল্টিফাংশন প্রিন্টার ডকুমেন্ট এবং ছবি প্রিন্ট করার ক্ষমতা রাখে। এটি সাধারণত উচ্চ মানের প্রিন্ট প্রদান করে এবং দ্রুত প্রিন্ট করতে সক্ষম হয়। আপনি সাদা-কালো এবং রঙিন উভয় প্রিন্ট করতে পারেন।

2. কপিয়িং

ডকুমেন্ট কপি করার সুবিধা দেয়। এটি সাধারণত উচ্চ মানের কপির প্রদান করে এবং বিভিন্ন ধরনের কপির অপশন থাকে যেমন: রিসাইজ, মাল্টি-পেজ কপি ইত্যাদি।

3. স্ক্যানিং

ডকুমেন্ট এবং ছবি স্ক্যান করার সুবিধা দেয়। এটি সাধারণত উচ্চ রেজোলিউশনের স্ক্যান প্রদান করে এবং বিভিন্ন ফরম্যাটে (যেমন PDF, JPEG) ফাইল সংরক্ষণ করতে পারে।

4. ফ্যাক্সিং

ডকুমেন্ট ফ্যাক্স করার সুবিধা দেয়। যদিও বেশিরভাগ নতুন মডেলগুলোতে ফ্যাক্সিং অপশন থাকে না, তবুও এটি অনেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার। বিশেষ করে যারা পুরনো ডকুমেন্ট ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহার করেন তাদের জন্য এটি উপকারী।

মাল্টিফাংশন প্রিন্টারের ব্যবহার

1. অফিসে ব্যবহৃত

অফিসের কাজের জন্য মাল্টিফাংশন প্রিন্টার অত্যন্ত উপযোগী। অফিসে নিয়মিত ডকুমেন্ট প্রিন্টিং, কপিয়িং, স্ক্যানিং এবং ফ্যাক্সিং এর প্রয়োজন হয়। মাল্টিফাংশন প্রিন্টার এই সব কাজ একসাথে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে এবং অফিসের কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়।

2. বাড়িতে ব্যবহৃত

বাড়িতে ব্যবহারের জন্য মাল্টিফাংশন প্রিন্টার আদর্শ। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সার বা হোম অফিস পরিচালনা করেন তাদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত উপযোগী যন্ত্র। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্যও এটি খুবই উপকারী।

3. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত

স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নোট এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট কপিয়িং এবং স্ক্যানিং এর জন্য মাল্টিফাংশন প্রিন্টার ব্যবহৃত হয়। এটি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার কাজে অনেক সাহায্য করে।

কিছু জনপ্রিয় মাল্টিফাংশন প্রিন্টার ব্র্যান্ড এবং তাদের মডেল

1. HP (হিউলেট প্যাকার্ড)

HP হলো একটি জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য প্রিন্টার ব্র্যান্ড। তাদের মাল্টিফাংশন প্রিন্টারগুলো উচ্চ মানের এবং বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মডেল পাওয়া যায়।

মডেল:

  • HP LaserJet Pro MFP M428fdw
  • HP OfficeJet Pro 9025

2. Canon (ক্যানন)

Canon এর মাল্টিফাংশন প্রিন্টারগুলোও খুবই জনপ্রিয়। তারা উচ্চ মানের প্রিন্ট এবং বিভিন্ন ফিচার সরবরাহ করে।

মডেল:

  • Canon PIXMA TR8520
  • Canon imageCLASS MF644Cdw

3. Epson (এপসন)

Epson এর মাল্টিফাংশন প্রিন্টারগুলো বিশেষ করে তাদের EcoTank এবং WorkForce সিরিজের জন্য পরিচিত। এগুলো তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী এবং উচ্চ মানের প্রিন্ট সরবরাহ করে।

মডেল:

  • Epson EcoTank ET-4760
  • Epson WorkForce WF-7710

4. Brother (ব্রাদার)

Brother এর মাল্টিফাংশন প্রিন্টারগুলোও উচ্চ মানের এবং নির্ভরযোগ্য। তারা বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মডেল সরবরাহ করে।

মডেল:

  • Brother MFC-L3770CDW
  • Brother DCP-L2550DW

5. Samsung (স্যামসাং)

Samsung এর মাল্টিফাংশন প্রিন্টারগুলোও উচ্চ মানের এবং আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। তারা দ্রুত প্রিন্টিং এবং উচ্চ মানের কপির প্রদান করে।

মডেল:

  • Samsung Xpress M2070FW
  • Samsung ProXpress C3060FR

6. Lexmark (লেক্সমার্ক)

Lexmark এর মাল্টিফাংশন প্রিন্টারগুলো বিশেষ করে ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। তারা উচ্চ মানের এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রিন্ট সরবরাহ করে।

মডেল:

  • Lexmark MB2236adw
  • Lexmark MC3224adwe

7. Kyocera (কিয়োসেরা)

Kyocera এর মাল্টিফাংশন প্রিন্টারগুলোও নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চ মানের। তারা বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মডেল সরবরাহ করে।

মডেল:

  • Kyocera ECOSYS M5526cdw
  • Kyocera TASKalfa 2552ci

8. Xerox (জেরক্স)

Xerox এর মাল্টিফাংশন প্রিন্টারগুলোও উচ্চ মানের এবং নির্ভরযোগ্য। তারা দ্রুত এবং কার্যকরী প্রিন্টিং প্রদান করে।

মডেল:

  • Xerox WorkCentre 6515
  • Xerox VersaLink C405

9. Ricoh (রিচো)

Ricoh এর মাল্টিফাংশন প্রিন্টারগুলোও উচ্চ মানের এবং নির্ভরযোগ্য। তারা দীর্ঘস্থায়ী এবং কার্যকরী প্রিন্টিং প্রদান করে।

মডেল:

  • Ricoh MP C4504ex
  • Ricoh SP 377SFNwX

10. Panasonic (প্যানাসনিক)

Panasonic এর মাল্টিফাংশন প্রিন্টারগুলোও নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চ মানের। তারা বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মডেল সরবরাহ করে।

মডেল:

  • Panasonic KX-MB1530CX
  • Panasonic DP-MB536

মাল্টিফাংশন প্রিন্টার কেনার সময় বিবেচ্য বিষয়

1. ব্যবহারের উদ্দেশ্য নির্ধারণ

প্রিন্টার কেনার আগে আপনাকে প্রথমেই ভাবতে হবে প্রিন্টারটি কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন। এটি অফিসের জন্য, বাড়ির জন্য, ছবি প্রিন্ট করার জন্য, নাকি শুধুমাত্র ডকুমেন্ট প্রিন্ট করার জন্য কিনছেন তা নিশ্চিত করুন। এর উপর ভিত্তি করে আপনি প্রয়োজনীয় প্রিন্টারের ধরন এবং ফিচার নির্বাচন করতে পারবেন।

2. মূল্য এবং ব্যয়

প্রিন্টারের প্রাথমিক মূল্য এবং এর সাথে সংযুক্ত ব্যয় যেমন ইঙ্ক কার্ট্রিজ বা টোনার রিফিলের খরচ বিবেচনা করতে হবে। লেজার প্রিন্টার সাধারণত ইঙ্কজেট প্রিন্টারের চেয়ে বেশি খরচায় আসে, তবে এর অপারেটিং খরচ কম হয় কারণ টোনার কার্ট্রিজের দাম কম।

3. গতি এবং কার্যক্ষমতা

প্রিন্টারের গতি এবং কার্যক্ষমতা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রিন্টারের গতি সাধারণত পৃষ্ঠা প্রতি মিনিট (পিপিএম) এ মাপা হয়। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি উপযুক্ত গতি নির্বাচন করুন।

4. সংযোগের অপশন

প্রিন্টারের সংযোগের অপশনও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক প্রিন্টারে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, ইউএসবি, ইথারনেট ইত্যাদি সংযোগ অপশন থাকে। আপনার সুবিধা অনুযায়ী সংযোগ অপশন নির্বাচন করুন।

5. ফিচার এবং ফাংশন

অনেক প্রিন্টারে কপির, স্ক্যানার, ফ্যাক্স মেশিনের সুবিধা থাকে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এই ফিচারগুলো বিবেচনা করুন।

বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের মাল্টিফাংশন প্রিন্টার

বাংলাদেশি প্রযুক্তি বাজারেও বেশ কিছু জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য প্রিন্টার ব্র্যান্ড রয়েছে। নিচে বাংলাদেশে প্রাপ্ত কিছু প্রিন্টার ব্র্যান্ডের তথ্য দেওয়া হলো:

Walton

  • Walton: ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরি করে থাকে। তাদের প্রিন্টারগুলোও ভালো মানের এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা। ওয়ালটন প্রিন্টারগুলোতে সাধারণত ইঙ্কজেট এবং লেজার দুই ধরনের প্রিন্টার পাওয়া যায়।মডেল:
    • Walton Eprinter W100
    • Walton Laser Printer L100

Vision

  • Vision: আরএফএল গ্রুপের একটি ব্র্যান্ড যা ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনে বিশেষভাবে পরিচিত। Vision প্রিন্টারগুলো সাধারণত অফিস এবং বাড়ির ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। ইঙ্কজেট এবং লেজার প্রিন্টার উভয়ই পাওয়া যায়।মডেল:
    • Vision Inkjet Printer VIJ-001
    • Vision Laser Printer VLP-002

TonerCartridgeBD.com থেকে কেনার সুবিধা

TonerCartridgeBD.com বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রিন্টার এবং টোনার কার্ট্রিজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এই ওয়েবসাইট থেকে প্রিন্টার কেনার কিছু সুবিধা নিচে দেওয়া হলো:

  1. বিস্তৃত প্রডাক্ট রেঞ্জ: TonerCartridgeBD.com এ বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মডেলের প্রিন্টার পাওয়া যায়। আপনি সহজেই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রিন্টার বেছে নিতে পারবেন।
  2. অরিজিনাল পণ্য: এখানে সব পণ্যই অরিজিনাল এবং গ্যারান্টিযুক্ত। তাই প্রডাক্টের মান নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
  3. সাশ্রয়ী মূল্য: তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিন্টার এবং টোনার কার্ট্রিজ পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ডিসকাউন্ট এবং অফারের সুযোগও থাকে।
  4. দ্রুত ডেলিভারি: আপনার অর্ডার দ্রুত এবং নিরাপদে আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
  5. কাস্টমার সাপোর্ট: ভাল মানের কাস্টমার সাপোর্ট এবং বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করে থাকে, যা আপনাকে যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করবে।

প্রিন্টার ব্যবহারের টিপস

প্রিন্টার কেনার পর সঠিকভাবে ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ব্যবহারের টিপস নিচে দেওয়া হলো:

  • প্রিন্টার রাখার স্থান: প্রিন্টারটি এমন স্থানে রাখুন যেখানে সরাসরি সূর্যালোক বা অতিরিক্ত ধূলা পৌঁছাতে না পারে।
  • সঠিক ইঙ্ক এবং টোনার ব্যবহার: আপনার প্রিন্টারের জন্য নির্ধারিত ইঙ্ক এবং টোনার ব্যবহার করুন। অন্য কোনো ব্র্যান্ড বা কম মানের ইঙ্ক ব্যবহার করলে প্রিন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • প্রিন্টারের সফ্টওয়্যার আপডেট: প্রিন্টারের সফ্টওয়্যার নিয়মিত আপডেট করুন। এতে প্রিন্টারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
  • প্রিন্টারের রক্ষণাবেক্ষণ: প্রিন্টারের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করুন। এর মধ্যে রয়েছে প্রিন্ট হেড পরিষ্কার করা, পেপার জ্যাম পরিষ্কার করা ইত্যাদি।
  • অপ্রয়োজনীয় প্রিন্টিং এড়ানো: অপ্রয়োজনীয় প্রিন্টিং এড়িয়ে চলুন। এতে ইঙ্ক এবং পেপার সাশ্রয় হবে এবং পরিবেশও রক্ষা পাবে।

উপসংহার

একটি মাল্টিফাংশন প্রিন্টার কেনার সময় উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা প্রিন্টারটি বেছে নিতে পারবেন। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মডেলের প্রিন্টার রয়েছে, তাই আপনার বাজেট এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক প্রিন্টারটি নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের প্রিন্টার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অফার করা ফিচার, গুণমান এবং বিক্রয়োত্তর সেবা বিবেচনা করুন। TonerCartridgeBD.com থেকে প্রিন্টার এবং টোনার কার্ট্রিজ কেনার সময় তাদের প্রদত্ত সুবিধাগুলো বিবেচনা করে আপনি একটি কার্যকরী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রিন্টার কিনতে সক্ষম হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *